বন্যাকবলিতদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন চালু
ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ‘১০২’ তে কল করলে সেবা পাবেন বন্যাকবলিতরা। |
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সারা দেশের বন্যাকবলিত এলাকার উদ্ধারকাজ বিষয়ে যেকোনো সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ‘১০২’ তে কল করলে কর্মীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫, মনিটরিং সেলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের নম্বর ০১৭১৩-০৩৮১৮১ এবং জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ কল করেও ফায়ার সার্ভিসের সেবা নেয়া যাবে।
মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার ফায়ার স্টেশনগুলো এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমেও ২৪ ঘণ্টা দুর্যোগে উদ্ধারবিষয়ক সেবা নিতে পারবেন সেবাগ্রহীতারা।
এদিকে, সময়ের সাথে ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লাসহ দেশের আটটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার নোয়াখালীতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। তৃতীয় দফা বন্যায় ফেনীর পরশুরাম,
ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ভাঙা বাঁধের ২৪টি অংশ ও কয়েকটি স্থান বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।
মঙ্গলবার রাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারি বৃষ্টি হয়। পাশাপাশি, বন্দরের পাশে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এতে আখাউড়া স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, অমরপুর, রহিমপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগর, কর্নেল বাজার, মোগরা মনিয়ন্দসহ অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এর মাঝে, বীরচন্দ্রপুর গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে এক গর্ভবর্তী নারীর মৃত্যু হয়। বন্যার্তদের সাহায্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
হবিগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খোয়াই নদীর সবগুলো পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শহরতলীর জালালাবাদ এলাকার বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে রিচি ও লোকড়া ইউনিয়নের হাওরে রোপা আমন ও মৎস্য খামারিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়েছে সিঙ্গিনালা গ্রামের ৪০ বছরের পুরানো সেতু। এতে মহালছড়ির সঙ্গে মুবাছড়ি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে, পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটির সাজেক, লংগদু ও বাঘাইছড়ি সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
নোয়াখালীতে বুধবার ভোর থেকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকশ মাছ ও মুরগির খামার, আমনের বীজতলা, শাকসবজির ক্ষেত। ঝড়ো বাতাসে ভেঙে পড়েছে গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি এলাকা।
২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর পানিতে কিং বাজেহুড়া গ্রামটি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বানভাসীদের সাহায্যে কাজ করছেন স্থানীয় প্রশাসন।
0 Comments